বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : শুষ্ক মৌসুম শুরু হলে শুরু হয় মাটি কাটা। বিভিন্ন মাঠ থেকে মাটি কেটে ব্যবহার করা হয় ইটভাটাসহ নানা কাজে। মাটি টানার কাজে ব্যবহার করা হয় ট্রলি এবং ড্রাম ট্রাক। এসব ট্রলি ও ড্রাম ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হয় গ্রামীণ সড়কগুলি।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মাটি টানার ট্রলি আর ড্রাম ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে সড়ক। সেই সাথে ধুলায় ভাসছে রাস্তার পাশের বাড়িঘর।
মাটি কাটা বন্ধে এবং গ্রামীণ এ সকল সড়কগুলি রক্ষা করতে মাঠে নেমেছেন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন। বৃহস্পতিবার (০৯.০২.২৩) সকাল ১১টা থেকে অভিযান শুরু করেন তিনি। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাটি কাটা রেখে গাড়ি নিয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ওই দিন সকালে ভ্রাম্যমান আদালত পৌর সদরের ৫ নং ওয়ার্ডের শিবপুরে অভিযান চালায়। সেখানে হাশেম শেখের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছিল। ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ি যেতে দেখেই মাটি কাটার সাথে জড়িতরা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে বোয়ালমারী-রাজাপুর সড়কের চুকিনগর নামক স্থান থেকে মাটি ভর্তি একটি ট্রলি এবং ড্রাম ট্রাক (ফরিদপুর ট ১১-০৪৪২) আটক করে উপজেলায় নিয়ে যান।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে মাটি কাটা রেখে গাড়ি নিয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন বলেন, বিভিন্ন মাঠ থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া, পুকুর ভরাট, বাড়ি করার কাজে ব্যবহার করা হয়। মাটি টানার গাড়িতে নষ্ট হচ্ছে সড়কগুলি।
এ জন্যই ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ এবং গ্রামীণ সড়কগুলি রক্ষার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়। মাটি কাটার স্পটে কাউকে পাওয়া যায়নি। সড়ক থেকে চলতি অবস্থায় মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
গাড়ির মালিকদের পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড বা অর্থ দন্ড করা হবে। আর মালিকদের না পাওয়া গেলে গাড়ি দুটি নিলামে তোলা হবে। মাটি কাটা বন্ধ এবং সড়কের সুরক্ষায় এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন ইউএনও মোশারেফ হোসাইন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।